মুহাম্মাদ মুসা বিন নাসির
Golam Kabeer Al Abraar আমাদের বাহাস-মুনাজারার দিকে অধিক ঝুঁকে পড়া উচিত হবে না। কোমল ও উত্তম পন্হায় দাওয়াতী কাজ চালিয়ে যেতে হবে।
হাঃমাওঃ আব্দুশ-শাকুর আলবানি কে???
Rakibul Islam Rifat ভাই তাহলে ইমামদের মতপার্থক্য নিয়ে এত মাতামাতি করছিলেন কেন? এখন নিজেদের পছন্দের আলেম দের মতপার্থক্য ধরা পড়ছে তাই বলেন “মতপার্থক্য থাকবেই” ।
মুহাম্মাদ মুসা বিন নাসির সকল মতপার্থক্য গ্রহনীয় নয়। মতপার্থক্য আছে, কিন্তু এটাকে কেন্দ্র করে সহীহ হাদীছ বর্জনের বিপক্ষে আমরা।ইমামদের মতপার্থক্য নিয়ে মাতামাতি কে করলো? আহলে হাদীছগণ সহীহ হাদীছের উপর আমলের কথা বলেন তাই ইমামদের মতপার্থক্যের বিষয়টি চলে আসে।পোস্টেই বিষয়টি clear করেছি
Rakibul Islam Rifat তাহলে গালিব সাহেব বলেন রুকু পেলে রাকাত হবেনা আবার আকরামুজ্জামান ভাই বলে রাকাত হবে,,,, সহীহ হাদিস মোতাবেক আকরামুজ্জামান ভাই সঠিক,,, তাইলে গালিব সাহেব কোন সহীহ হাদিস থেকে তার মত দিল? মোট কথা মতভেদ সাহাবীদের মাঝেও ছিল এখন ও আছে…. আর মতভেদ দূর করে এক মত প্রতিষ্টা করার চেষ্টা করাই বিদয়াত।
Rakibul Islam Rifat আর বর্তমানে যেইসব বিষয় নিয়া হানাফী আহলে হাদিস দ্বন্দ্ব প্রত্যেকটা বিষয় মুস্তাহাব পর্যায়ের (বেশির ভাগ) কিন্তু এর ফলে যে বিভক্তি,মনমালিন্য ,ঝগড়া হয় প্রত্যেকটাই ফরজ তরক করে, প্রত্যেকটাই ইসলামে নিষেধ। মুস্তাহাব রক্ষার্থে মানুষ ফরজ কাজ (একতা) নষ্ট করে।
দলে দলে লোক সহিহ দ্বীন গ্রহন করতেছেন ইনশাহ আল্লাহ
Rakibul Islam Rifat মাহবুব ভাই আর আপনারা আপ্রাণ চেষ্টা করতাছেন নতুন মাজহাব বানানোর জন্য তাইনা?
মুহাম্মাদ মুসা বিন নাসির রিফাত ভাই, সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) কেউ রুকূ থেকে উঠার সময় রফে ইয়াদাইন না করলে তাকে ছোট পাথর ছুঁড়তেন! ইমাম বুখারীর মতে রফে ইয়াদাইন না করা কোন সাহাবী থেকে প্রমাণিত হয়নি, তাহলে কি তিনি একমত প্রতিষ্ঠা করে নাউযুবিল্লাহ বিদ’আত করেছেন? গালিব সাহেবের মতে রুকূ পেলে রাক’আত হবে না কিন্তু আকরামুজ্জামান সাহেবের মতে হবে। এটা যার যার গবেষণা, তাছাড়া এই মাস’আলা অস্পষ্ট ও ইজতেহাদী। পূর্বেই বলেছি এ সকল বিষয়ে উতসাহিত করা যায়, কিন্তু এর জন্য কাউকে গোমরাহ বলা যায় না।
Rakibul Islam Rifat তাহলে তো আপনার মতে ইমাম বুখারী পৃথিবীতে বর্ণিত সকল হাদিস জানতো,, তাইনা?
Rakibul Islam Rifat আপনার সাথে একমত যে এর জন্য গোমরাহ বলা নিতান্তই মূর্খতা,,,,
মুহাম্মাদ মুসা বিন নাসির আমি কি একবারও সে কথা বলেছি? অহেতুক বিতর্ক করবেন না ভাই।যার যার গবেষণা অনুযায়ী তিনি ফল পাবেন আপনি সালাফীদের বিষয়ে আরো ভালো করে জানুন।
Mahbub Bhairab Dammam যাদের আকিদায়, শিরেক, বেদায়াত, কল্পিত কিচ্ছা কাহীনি বিশ্বাসী হওয়া সত্তেও নিজের পথকে সরল সঠিক মনে করেন, অন্ধ লোকের দিনরাত সমান,
NafizulIslam Niloy Musa vaier post Amar khub valo lage ….. Onek balanced kotha lekhen
এর কয়েকটি উদাহরণ দিচ্ছি।হানাফী ফিক্বহের বিখ্যাত গ্রন্থ “আল-হিদায়া”তে লেখা আছে
=================================================
হালাল পশুর পেশাব কাপড়ে লাগলে,
১) ইমাম আবূ হানীফা এবং আবূ ইউসুফ (রাহিমাহুমুল্লাহ) এর মতে তা বেশী না লাগলে কাপড় নাপাক হবে না।
২) ইমাম মুহাম্মদ (রাহিমাহুল্লাহ) এর মতে বেশী পরিমাণ পেশাব লাগলেও তা কাপড় নাপাক করবে না। কারণ তার মতে হালাল পশুর পেশাব পাক।
অথচ কিছুদিন আগে আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফেরই একই কথায় (গরুর পেশাব কাপড়ে নিয়ে নামায হবে, কারণ হালাল প্রাণীর পেশাব পাক) এক মুফতি কতই না লাফ ঝাপ দিয়েছিলেন। উনার সাথে উনার সমর্থকেরাও হানাফী মাস’আলা না জেনেই হৈ হৈ করে উঠেছিল ।
অথচ উনি জানেনই না, বা জেনেও হয়ত লুকিয়ে গেছেন যে হানাফী মাযহাবের ইমাম মুহাম্মাদ এর মতে হালাল প্রাণীর পেশাব পাক।
==================================================
হারাম পাখির পায়খানা কাপড়ে লাগার ব্যাপারে,
১) ইমাম আবূ হানীফা এবং আবূ ইউসুফ (রাহিমাহুমুল্লাহ) এর মতে এক দিরহাম এর বেশী পরিমাণ লেগে যায়, তাহলে সেই কাপড়ে সলাত জাইজ হবে।
২) ইমাম মুহাম্মদ (রাহিমাহুল্লাহ) এর মতে এক দিরহাম এর বেশী পরিমাণ লেগে গেলে সেই কাপড়ে সলাত জাইজ হবে না।
==================================================
দুইটা মাস’আলাতেই কিন্তু প্রবল মতপার্থক্য হয়েছে, কারণ সলাত জায়িজ-নাজায়িজ এর ব্যাপার এসে পড়েছে।
স্ক্রীনশট দিলাম।

Enayet Karim হানাফী ফিক্বহের বিখ্যাত গ্রন্থ “আল-হিদায়া”তে লেখা আছে,
===================================================…See More

Enayet Karim হানাফী ফিক্বহের বিখ্যাত গ্রন্থ “আল-হিদায়া”তে লেখা আছে,
================================================…See More

Enayet Karim এই ধরনের মতপার্থক্য আরও অনেক দেয়া যায়… উপরের মাত্র ৪টিতে “জায়িজ, না-জায়িজ” এর মত পার্থক্যই রয়েছে… যা মুস্তাহাব নয়, বরং হারাম-হালালের কাছাকাছি…
মহিলাদের মাসজিদে, ঈদগাহে যাওয়ার ব্যাপারেও হানাফী মাযহাবের তিন ইমামের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে।
সুতরাং নিজেদের মাযহাবের মতপার্থক্য ব্যাপারে জ্ঞান লাভ করলে অন্যদের ব্যাপারে এমনিতেই বুঝ এসে যাবে। সেসব আর “জালিয়াতী, ফিতনা” ইত্যাদি থাকবে না।
Mohsin Kamal এইসব মতপার্থক্য দিয়ে কি জান্নাত,জাহান্নাম নির্নয় হয়?ঘুষখোর,সুদখোর,বাবার প্রেমিকদের বিষয় কথা বলা দরকার।যাক সাহাবীদের ভিতরেও এই ফিকহ নিয়ে তর্ক দেখা যায়।আমাদের একটু নম্র হওয়া দরকার।
Kamal Abul Gazi আসলে শুধু বুকে হাত বাধা,রাফাদাইন বা এইধরনের মাসয়ালা মাসায়েল নিয়ে যদি মতপার্থক্য হত তাহলে দেওবন্দ,বেরলবিদের সাথে সুন্নাহ আহলে ওয়াল জামায়াতের তেমন দ্বন্দ্ব থাকতো না,কবেই এর সমাধান হয়ে যেতো মতপার্থকের মূলকারন হলো আকিদ্বাগত মাসয়ালা,আপনি যদি দেওবন্দ বা বেরলবিদের গভীরে প্রবেশ করেন তখন বুজতে পারবেন মূল সমস্যা কি? তাদের কেউ কলেমা সাক্ষ্য দেয়ার পর (ওয়াহদাতুল অজুদ) এর দোহাই দিয়ে আল্লাহ্র তাওহিদকে ধ্বংস করেছে………???
Kamal Abul Gazi ছাহাবি (রা:) এর মাঝে মতপার্থক্য ছিলো কিন্তু তারা কি নিজেদের মতকে প্রাধান্য দিয়েছেন নাকি রাসূল(সাঃ)এর মতকে প্রাধান্য দিয়েছেন অবিশ্যেই রাসূল(সাঃ) এর মতকে,তারা কোন বিষয়ে মতপার্থক্য হলে সেটা কুর- আন সুন্নাহর দিকে ফিরিয়ে দিতেন, আর তাদের আকিদ্বা গত কোন বিষয় নিয়ে মতানৈক্য ছিলোনা, সুন্নাহ আহলে ওয়াল জামাত ! আহলে হাদিস এর মাঝেও আকিদ্বা গত কোন মতপার্থক্য নেই আলহামদুলিল্লাহ্…..
মুহাম্মাদ মুসা বিন নাসির মনির ভাই, সেগুলো মৌলিক পার্থক্য নয়। শাইখ উসাইমীন কিন্তু আশআরী ও মাতুরিদী আক্বীদাকে আহলে সুন্নাহর অন্তর্ভুক্ত করেননি। কিন্তু আমাদের দেশে আশআরী ও মাতুরিদি বিশ্বাস, ওয়াহদাতুল উজুদ, গাউছ-কুতুব সাথে চার তরীকার মিশেল জগাখিঁচুড়ী আক্বীদা পোষণ করা হয়

https://islamiboi.wordpress.com/…/21/bn_unity_ummah-ways/

মুহাম্মাদ মুসা বিন নাসির এই কিতাব পড়েছি ভাই। বুঝার চেষ্টা করুন। আমি কখনোই ইখতেলাফি বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করি না। এবং আমাদের দেশের অনেক আলেমও এই পথে আছেন। আমরা সহীহ হাদীছের আমল করতে উতসাহিত করি মাত্র। আমার পুরোপুরি জানা নেই এ বিষয়ে ইবনে তাইমিয়ার একটি ক্বওল আছে, “বিভিন্ন পদ্ধতির মধ্যে কোন একটি পদ্ধতি ক্ষেত্রবিশেষে উত্তম, তবে দ্বিতীয় পদ্ধতি মাকরূহ নয়”। শাইখ সালিহ আল-উসাইমীনের এ বিষয়ক এ কটি কিতাব আছে। কিতাবটির নাম “উলামার মতপার্থক্য ও আমাদের করণীয়”।

ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যার তার “কিয়ামাতের আলামাত” বইয়ে বিভিন্ন যুগে “মিথ্যা ইমাম মাহদী দাবীদার”-দের তালিকায় “মানসুর হাল্লাজ”-কে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। আলহামদুলিল্লাহ। এসকল কারণেই হয়তো দেওবন্দী ভাইরা তাকে পছন্দ করেনা। কারণ, মানসুর হাল্লাজের মত বেদ্বীন সূফী তাদের নিকট আল্লাহর বড় ওলী! এমনকি কেউ কেউ উনাকে হানাফী বলে স্বীকৃতি দিতেই রাজী নয়। আমার কথা হলো কে স্বীকৃতি দিল কি দিল না তা কি জানাটা জরুরি? কারো দেওয়া দুনিয়াবী স্বীকৃতির চেয়ে মহান আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টিই আসল।